National Online News Portal of Bangladesh - বাংলাদেশের জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল - بوابة الأخبار الوطنية على الإنترنت لبنغلاديش - बांग्लादेश का राष्ट्रीय ऑनलाइन समाचार पोर्टल - بنگلہ دیش کا قومی آن لائن نیوز پورٹل
ছবি: সংগৃহিত

শেখ হাসিনার নির্দেশে বন্ধ ছিল ইন্টারনেট, পলকের স্বীকারোক্তি

  ।।বিকে রিপোর্ট।।  বৃহস্পতিবার | ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪ | ০১:৩৯ পিএম

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী গণ-আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট সেবা কোনো দুর্ঘটনায় বন্ধ ছিল না, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয় বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৃহস্পতিবার ১৯ নভেম্বর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, কোনো টাওয়ারে আগুন নয় বরং শেখ হাসিনার নির্দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে এই কথা জানিয়েছেন সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তাজুল ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। ইন্টারনেট বন্ধের এ নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এছাড়া ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্যই বিচারের বৈধতা নিয়ে সাবেক সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল আহসান প্রশ্ন তুলেছেন বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।

তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারের এখতিয়ার নিয়ে আবেদন করে জিয়াউল আহসান ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। তবে জুলাই গণহত্যার বিচারে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সম্ভাব্য সাক্ষীরা টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। তাঁদের নিরাপত্তায় কোনো গাফিলতি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায় নিতে হবে।

এর আগে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক ডিজি জিয়াউল আহসানসহ ৭ আসামিকে ট্রইব্যুনালে হাজির করা হয়।

জুলাই গণহত্যায় বিভিন্ন মামলায় সাবেক এসপি আব্দুল্লাহেল কাফি ২৬ ডিসেম্বর, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলামকে ২৫ ডিসেম্বর ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ৩০ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি সাবেক আইজিপিসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে একদিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতিও দেয় ট্রাইব্যুনাল।

এ সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন গুলশান-ভাটারার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণেরও নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।