সম্প্রতি ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিবৃতিটি প্রকাশিত হয়েছে।
রবিবার ২৭ অক্টোবর প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে’ এই হামলার নিন্দা জানায়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ইরানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি বলে মনে করে বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক স্টেকহোল্ডারদের সংযম অনুশীলন এবং আরও উত্তেজনা প্রতিরোধ করার জন্য তাদের প্রভাব কাজে লাগানোর আহ্বান জানায়।
এ ধরনের উস্কানি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সুদূরপ্রসারী পরিণতিসহ ইতোমধ্যেই ভঙ্গুর অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার হুমকি সৃষ্টি করেছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
এতে বলা হয়, আমরা জোর দিচ্ছি যে আন্তর্জাতিক নিয়ম, সংলাপ এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতি মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে এবং এর বাইরেও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সর্বোত্তম পন্থা।
কূটনীতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা স্থায়ী শান্তির একমাত্র কার্যকর পথ উল্লেখ করে বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্যের সমর্থনে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিগুলোকে এই যুদ্ধের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ যেকোনও অঞ্চলে স্থিতিশীলতা রক্ষায় সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পন্নের ওপর বিশ্বাস করে বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর থেকে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। হামাসকে লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীও সমর্থন করছে, আর হিজবুল্লাহকে সমর্থন করে ইরান।
মধ্যপ্রাচ্যে মিত্রদের ওপর ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলার কারণে গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ইরান দুই শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। এরপর থেকে ইরান মূলত ইসরায়েলের জবাবের অপেক্ষাতেই ছিল।
শনিবার ২৬ অক্টোবর ইরানের রাজধানী তেহরান ও পশ্চিমাঞ্চলীয় দুটি প্রদেশের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।