ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বুধবার ৬ নভেম্বর বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার এইচ.ই. সারাহ কুক পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে এক পরিচিতিমূলক সাক্ষাৎকারে এ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অংশীদারিত্ব ও পারস্পরিক স্বার্থ, বিশেষ করে ব্যবসা ও বাণিজ্য, পাচারকৃত সম্পদের ফিরিয়ে আনা, সমুদ্র নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন ও শ্রমের গতিশীলতা এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র সচিব বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের প্রতি ব্রিটিশ সরকারের সমর্থনের কথা স্বীকার করেন।
তিনি যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশ জনগোষ্ঠী, কমনওয়েলথ ঐতিহ্য ও অভিন্ন মূল্যবোধের দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত দুই দেশের মধ্যকার চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের প্রতি ইউকে'র অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন।
পররাষ্ট্র সচিব যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশি ও শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ-ইউকে সম্পর্কের অত্যন্ত শক্তিশালী উপাদান হিসেবে তুলে ধরে হাইকমিশনারকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইউকে সরকারের স্কলারশিপের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং যুক্তরাজ্যের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশ শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা ইস্যু বেগবান করার অনুরোধ জানান।
যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।
তিনি মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কলমধারক হিসাবে যুক্তরাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র সচিব আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ-ইউকে অংশীদারিত্ব জোরদারে হাইকমিশনারের প্রতি পূর্ণ সহযোগিতা ও সমর্থন প্রকাশ করেন।সূত্র-বাসস।