National Online News Portal of Bangladesh - বাংলাদেশের জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল - بوابة الأخبار الوطنية على الإنترنت لبنغلاديش - बांग्लादेश का राष्ट्रीय ऑनलाइन समाचार पोर्टल - بنگلہ دیش کا قومی آن لائن نیوز پورٹل
ছবি: সংগৃহিত

রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মমতার বক্তব্য সঠিক পদক্ষেপ নয়

  ।।বিকে রিপোর্ট।।  সোমবার | ডিসেম্বর ২, ২০২৪ | ০৭:৩৯ পিএম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারকে লিখিত প্রস্তাবনা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতার বক্তব্য রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সঠিক পদক্ষেপ নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

সোমবার ২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থান নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে মমতার বক্তব্যের বিষয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তৌহিদ হোসেন বলেন, উনি (মমতা) এই বক্তব্য কেন দিলেন এটা আমি বুঝতে পারছি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এটা তার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নয়। রাজনীতিবিদরা তো সবসময় রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বক্তব্য দিয়ে থাকেন। আমি মনে করি, এটা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির জন্য সহায়ক হবে না। এটা অবশ্য আমার মত।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারকে লিখিত প্রস্তাবনা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

প্রসংগত, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) পরবর্তী পর্বে যোগ দিতে চলতি মাসের মাঝামাঝি ঢাকা সফর করার কথা রয়েছে। ভারতের সঙ্গে দিন দিন সম্পর্কের টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে এফওসি হওয়া নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে।

এফওসি হওয়ার প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, এফওসি হওয়ার কথা। আমি মনে করি হবে। এখন দুইপক্ষ একসঙ্গে হতে হবে।

সম্পর্কের যে টানাপোড়েন চলছে, সামনের দিনগুলোতে দিল্লিকে ঢাকা কীভাবে সামলাবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পারস্পরিক স্বার্থ ঠিক রেখে আমরা ভারতের সঙ্গে একটা স্বাভাবিক, ভালো ও সুসম্পর্ক চাই।

ভারতের আন্তরিকতা প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, আন্তরিকতা তো পরিমাপ করা খুব কঠিন কাজ। এটা গণমাধ্যমকে মাপতে হবে। এখানে অন্তরের চেয়ে স্বার্থ গুরত্বপূর্ণ উভয়ের জন্য। আমি মনে করি, ভারত-বাংলাদেশ উভয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নেবে নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী।

তিনি বলেন, ভারতীয় ভিসা বন্ধ। যে কারণে অনেকে চিকিৎসা নিতে ভারত যেতে পারছে না। আবার কলকাতার ব্যবসায়ীদের অবস্থা খারাপ, এটা ভারতের স্বার্থ কি না তাদের দেখতে হবে। বৃহত্তর স্বার্থে তারা যদি মনে করে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতি হোক তবুও ভারতের সরকার অন্যটাতে…। ভারতের স্বার্থ তো আমি বুঝতে পারব না।